Translation – English – WBPSC Miscellaneous Main Question Paper

WBPSC Miscellaneous Main English Translation

Translation - English - WBPSC Miscellaneous Main Question Paper

Miscellaneous Question Paper – 2019

1. Translate the following passages into English. 20+20=40

(a)  ২০১৮ নভেম্বরের প্রথম দিকে লীলাবতী নিজের কিছু কাজ নিয়ে শান্তিনিকেতন যায় । ওখানে থাকাকালীন একটু সময় করে নান্নুর গিয়েছিল চণ্ডীদাস ও রামীর লীলাক্ষেত্র দেখার জন্য । ওর সঙ্গী বিশ্বভারতীর একজন স্কলার মৃত্যুঞ্জয় ধীবর । ওর বাড়ি নান্নুরের কাছেই গ্রামে । সকাল সকাল লীলাবতী বেরিয়ে পড়েছিল সোনালি ধানে ভরা বাংলার মাঠ , খেত দেখার জন্য । তার উপর নান্নুরের চণ্ডীদাসের জন্মভিটে আরও কত কিছু । নান্নুরের জন্মভিটায় ঢোকার আগে সুন্দর তোরণ । তোরণের চিন্তাভাবনা , রূপসজ্জা নন্দলাল বসুর । তার উপর লেখা ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ‘— কী সাংঘাতিক কথা ! কথাটা লীলাবতী আগে তো শুনেছে কিন্তু নান্নুরে দাঁড়িয়ে ঐ লাইন ওকে আরও কেমন যেন ভীষনভাবে নাড়া দিল । সারাজীবন লীলাবতী জাতপাতের কত কিছু নিষ্ঠুরতা দেখেছে । আর চণ্ডীদাস কয়েকশো বছর আগে ধোপানি রামীর প্রেমে মশগুল । চণ্ডীদাসের পদাবলীর নামই হল রামীচণ্ডীদাসের পদাবলী ।

 

(b) বুধবার সন্ধ্যা থেকে কেঁদেই চলেছে নাপোলি । দক্ষিণ ইতালির ছোট্ট শহরটিকে ডিয়েগো মারাদোনা তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের দরবারে । ফুটবল ঐতিহ্যে তুরিন কিংবা মিলানের থেকে অনেক পিছিয়ে নাপোলি । এখানকার বাসিন্দারা সামাজিক অবস্থাও  তেমন ভালো ছিলো না । এমন একটি শহরকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য নাপোলিবাসীরা চিরকাল মারাদোনাকে দেবতার আসনে রাখবেন । বুধবার রাতে সেটাই আবার প্রমাণ হল । তাঁর মৃত্যুতে নাপোলির নাগরিকরা ডাউন টাউন এলাকায় মোমবাতি হাতে মিছিল করেন । যদিও সেখানে এখনও করোনার প্রচন্ড প্রকোপ । ইতালি সরকার এই শহরটিকে এখনও রেড জোন হিসেবেই চিহ্নিত করে রেখেছে । কিন্তু শৃঙ্খলাপরায়ণ ইতালিয়ানরা সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মারাদোনার জন্য বুধবার রাতে পথে নেমেছিলেন । বয়স্করা মিছিলে পা  না মেলালেও মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়েছিলেন নিজেদের বাড়ির সামনে । অনুরাগীরা গান গেয়েও শ্রদ্ধা জানান  ফুটবলের রাজপুত্রকে ।

 

Sponsored

 

Miscellaneous Question Paper – 2018

1. Translate the following passages into English. 20+20=40

(a) অরবিন্দ ছিলেন মনীষী । বিদেশি শিক্ষার আলোয় তিনি তার জীবনের সন্ধিক্ষণ চিনতে ভুল করেননি । শুরু থেকেই তার মনের অভ্যন্তরে জন্মেছিল দেশসেবার বাসনা । সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া গেল না ঘোড়ায় চড়ার পরীক্ষায় হাজির ছিলেন না বলে। একেই কি বলে ভবিতব্য ? প্রথম জীবনে পরিধান দেশকে শৃঙ্খলামুক্ত করতে ব্রতী হন তিনি । আলিপুর বোমা মামলায় তাঁকে জেলে কাটাতে হয় এক বছর , সেই সময় তাঁর জীবনে আসে turning point । তিনি কারাগারে দর্শন পেলেন নারায়ণরুপী শ্রীকৃষ্ণের । কারাগারে হয়ে উঠল তাঁর কাছে আশ্রম । পরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র স্বাধীনতা আমাদের লক্ষ্য নয় । তার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে মানবজাতির চেতনা । যা সার্বজনীন হওয়া প্রয়োজন । হিংসার পথে তিনি স্বয়ং আর হাঁটতে চাইলেন না । তা বলে পরিধান দেশকে স্বাধীন দেখার বাসনা তার মোটেই কমেনি । বিপ্লবী আন্দোলন থেকে নিজেকে বিছিন্ন করে ফেললেও তিনি জানতেন তাঁর শুরু করা কাজ পূর্বনির্ধারিত পথে এগিয়ে যাবে । এ নিয়ে তাঁর মধ্যে কোন হতাশা বা  ব্যর্থতার মনোভাব ছিল না ।

 

(b) গত বেশ কিছু বছরে বিদেশে, গোয়েন্দা কাহিনীর পরিচিত রীতির পরিবর্তন হয়েছে । ব্যোমকেশ বা ফেলুদার কাহিনী দীর্ঘকাল বাঙালি পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে, তবে প্রাইভেট গোয়েন্দা ব্যাপারটা বাস্তবে প্রায় নেই বলা চলে । অন্তত তারা কোন খুন বা অপরাধের তদন্ত করার অধিকারী নয় । তারা বন্দুক পিস্তলও  যথেচ্ছ ব্যাবহার করতে পারে না । খুব লম্বা চওড়া নয়, কিন্তু প্রবল শক্তিমান এবং সম্পূর্ণ ভয়ডরহীন । ইচ্ছে করেই শবরকে সবরকম মনুষী দুর্বলতা থেকে মুক্ত রেখেছি । সে মদ খায় না, ধূমপান করে না, কোনও প্রেম ভালবাসা বা পরিবার নেই, অথচ সে নিষ্ঠুর নয়, আর অপরাধিদের প্রতিও সে নির্মম নয় ।

 


Sponsored

 

Miscellaneous Question Paper – 2010

1. Translate the following passages into English: 20+20=40

(a) অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে তুলোর কাপড় ভারত থেকে নিয়ে গিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকায় বিক্রি করে ইউরোপীয় পণিকরা লাভ করত । উনিশ শতকের গোড়া থেকেই শিল্পজ জিনিসের চেয়ে কৃষিজ পণ্যের উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও অন্য বনিকদের ঝোঁক বেশি পড়ল । ম্যানচেস্টয়েরের বস্ত্রশিল্পে ততদিনে নতুন যন্ত্রের সাহায্যে সুতো পাকানো এবং কাপড় বোনার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । ভারতবর্ষের বস্ত্রশিল্পর উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার আগেই নানাভাবে আঘাত হেনেছে । দেশের মধ্যে বেশি বেশি পরিমাণ শুল্ক আদায় করে , অভ্যস্ত বাণিজ্যপথে বাধার সৃষ্টি করে কোম্পানি ও অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকরা ভারতবর্ষের শিল্প ব্যবস্তাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল ।

 

(b) হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের প্রথম রেকর্ড বেরোয়ে ১৯৩৭-র ডিসেম্বরে । দ্বিতীয় রেকর্ড বেরোয় ১৯৩৮-র ফেব্রুয়ারিতে । এই সময় হেমন্ত পেলেন সঙ্গীতের অফুরন্ত ভান্ডার । তাঁর নিজের কথায় “এরপর একদিন শৈলেন দত্তগুপ্ত দিলেন প্রাণের গান, মনের শান্তির সন্ধান । রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির একটা বই । ” রবীন্দ্রসঙ্গীত আর আধুনিক বাংলা গান পাশাপাশি গাইছিলেন । উস্তাদ ফৈয়াজ খাঁর ছাত্র ফণিভূষণ ব্যানার্জীর কাছে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতও শিখেছিলেন কিছুদিন । পরে ফণিবাবুর অকাল মৃত্যুতে এই সঙ্গীত সাধনর ছেদ পড়ে । উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রথাগত তালিম আর নেওয়া হয়নি । কারণ লঘুসঙ্গীত ছেড়ে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শেখা তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল । অসম্ভব ছিল এই  জন্যই যে গোটা সংসারের ভরণ-পোষণ নির্ভর করত তাঁর এই লঘু সঙ্গীত থেকে উপার্জিত অর্থের অপড়েই।

 

Sponsored


 

Miscellaneous Question Paper – 2009

1. Translate the following passages into English: 20+20=40

(a) সন্ধার পূর্বে কয়েকজন ভুটিয়া বনিকের সঙ্গে তিব্বতের ব্যবসাবাণিজ্য সমন্ধে অনেক আলোচনা হল। প্রধান ভুটিয়ারই এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী । ভুটিয়া ও তিব্বতিদের মধ্যে প্রতিবৎসর সহস্র সহস্র টাকার করবার হয় । বেশির ভাগ ক্রয়বিক্রয়ই হয় পণ্যের বিনিময়ে ।  ভারত হতে চাল , গম , চিনি , কাপড় , কেরোসিন তৈল , তৈজসপুত্র এবং বর্তমান সভ্যতার নানাবিধ উপকরণ ভুটিয়ারা নিয়ে যায় তিব্বতে । বিনিময় তিব্বত থেকে নিয়ে আসে পশম , কম্বল , ছাগল-ভেড়া-ঘোড়ার চামড়া , সোডা প্রভিতি নানাবিধ জিনিস । তিব্বতে বাণিজ্য করা মহা বিপদের ব্যাপার । মালপত্র নিয়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাবার সময় ভুটিয়ারা আগ্নেয়াস্ত্রাদিতে সুসজ্জিত হয়ে দলবদ্ধভাবে গমন করে । সুবিধা পেলেই তিব্বতি ডাকাতরা এদের মালপত্র সব লুটে নিয়ে যায় ।

 

(b) ৯৩.৪ মিটার লম্বা এই স্টাচুটির হাতে রয়েছে একটি মশাল । ১৮৮৬ সাল থেকে এটি নিউইয়র্ক বন্দরের সামনে হাডসন নদীমুখে রয়েছে । এর উদ্দেশ্য হল , এই মূর্তিটির মাধ্যমে মার্কিনী আধিবাসীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে , যাঁরা বিদেশ থেকে ঘরে ফিরছেন । তামা দিয়ে তৈরি এই স্টাচু । ১৮৮৬ সালের অক্টোবর মাসে ফরাসি সরকার তার বন্ধুত্বের চিহ্নরূপ এই স্টাচুটি উপহার দেয় । এই স্টাচুর স্থপতি হল ফ্রেডরিক আগাস্টা বার্থোলদি । এর ভেতরের কারুকার্য করেন আলেকজান্ডার গুস্তাব আইফেল । আর তামাকে বাছা ও ব্যবহারের পদ্ধতির কথা বলেন এউজেনে ভিওলেট ।

স্টাচুতে দেখা যায় একটি মহিলা মশাল নিয়ে দান হাত ওপরে তুলে দাঁড়িয়ে আছে — আর তার মাথায় একটি ৭টি পেরেকের মতো মুকুট । এই ৭টি পেরেক ৭টি সমুদ্র ও মহাদেশের ইঙ্গিতবাহী ।

 



 

 

Home
Search
Mock Tests
Menu
×