Contents
WBPSC Miscellaneous Main English Translation
Miscellaneous Question Paper – 2019
1. Translate the following passages into English. 20+20=40
(a) ২০১৮ নভেম্বরের প্রথম দিকে লীলাবতী নিজের কিছু কাজ নিয়ে শান্তিনিকেতন যায় । ওখানে থাকাকালীন একটু সময় করে নান্নুর গিয়েছিল চণ্ডীদাস ও রামীর লীলাক্ষেত্র দেখার জন্য । ওর সঙ্গী বিশ্বভারতীর একজন স্কলার মৃত্যুঞ্জয় ধীবর । ওর বাড়ি নান্নুরের কাছেই গ্রামে । সকাল সকাল লীলাবতী বেরিয়ে পড়েছিল সোনালি ধানে ভরা বাংলার মাঠ , খেত দেখার জন্য । তার উপর নান্নুরের চণ্ডীদাসের জন্মভিটে আরও কত কিছু । নান্নুরের জন্মভিটায় ঢোকার আগে সুন্দর তোরণ । তোরণের চিন্তাভাবনা , রূপসজ্জা নন্দলাল বসুর । তার উপর লেখা ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ‘— কী সাংঘাতিক কথা ! কথাটা লীলাবতী আগে তো শুনেছে কিন্তু নান্নুরে দাঁড়িয়ে ঐ লাইন ওকে আরও কেমন যেন ভীষনভাবে নাড়া দিল । সারাজীবন লীলাবতী জাতপাতের কত কিছু নিষ্ঠুরতা দেখেছে । আর চণ্ডীদাস কয়েকশো বছর আগে ধোপানি রামীর প্রেমে মশগুল । চণ্ডীদাসের পদাবলীর নামই হল রামীচণ্ডীদাসের পদাবলী ।
(b) বুধবার সন্ধ্যা থেকে কেঁদেই চলেছে নাপোলি । দক্ষিণ ইতালির ছোট্ট শহরটিকে ডিয়েগো মারাদোনা তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের দরবারে । ফুটবল ঐতিহ্যে তুরিন কিংবা মিলানের থেকে অনেক পিছিয়ে নাপোলি । এখানকার বাসিন্দারা সামাজিক অবস্থাও তেমন ভালো ছিলো না । এমন একটি শহরকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য নাপোলিবাসীরা চিরকাল মারাদোনাকে দেবতার আসনে রাখবেন । বুধবার রাতে সেটাই আবার প্রমাণ হল । তাঁর মৃত্যুতে নাপোলির নাগরিকরা ডাউন টাউন এলাকায় মোমবাতি হাতে মিছিল করেন । যদিও সেখানে এখনও করোনার প্রচন্ড প্রকোপ । ইতালি সরকার এই শহরটিকে এখনও রেড জোন হিসেবেই চিহ্নিত করে রেখেছে । কিন্তু শৃঙ্খলাপরায়ণ ইতালিয়ানরা সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মারাদোনার জন্য বুধবার রাতে পথে নেমেছিলেন । বয়স্করা মিছিলে পা না মেলালেও মোমবাতি হাতে দাঁড়িয়েছিলেন নিজেদের বাড়ির সামনে । অনুরাগীরা গান গেয়েও শ্রদ্ধা জানান ফুটবলের রাজপুত্রকে ।
Miscellaneous Question Paper – 2018
1. Translate the following passages into English. 20+20=40
(a) অরবিন্দ ছিলেন মনীষী । বিদেশি শিক্ষার আলোয় তিনি তার জীবনের সন্ধিক্ষণ চিনতে ভুল করেননি । শুরু থেকেই তার মনের অভ্যন্তরে জন্মেছিল দেশসেবার বাসনা । সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়া গেল না ঘোড়ায় চড়ার পরীক্ষায় হাজির ছিলেন না বলে। একেই কি বলে ভবিতব্য ? প্রথম জীবনে পরিধান দেশকে শৃঙ্খলামুক্ত করতে ব্রতী হন তিনি । আলিপুর বোমা মামলায় তাঁকে জেলে কাটাতে হয় এক বছর , সেই সময় তাঁর জীবনে আসে turning point । তিনি কারাগারে দর্শন পেলেন নারায়ণরুপী শ্রীকৃষ্ণের । কারাগারে হয়ে উঠল তাঁর কাছে আশ্রম । পরে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র স্বাধীনতা আমাদের লক্ষ্য নয় । তার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে মানবজাতির চেতনা । যা সার্বজনীন হওয়া প্রয়োজন । হিংসার পথে তিনি স্বয়ং আর হাঁটতে চাইলেন না । তা বলে পরিধান দেশকে স্বাধীন দেখার বাসনা তার মোটেই কমেনি । বিপ্লবী আন্দোলন থেকে নিজেকে বিছিন্ন করে ফেললেও তিনি জানতেন তাঁর শুরু করা কাজ পূর্বনির্ধারিত পথে এগিয়ে যাবে । এ নিয়ে তাঁর মধ্যে কোন হতাশা বা ব্যর্থতার মনোভাব ছিল না ।
(b) গত বেশ কিছু বছরে বিদেশে, গোয়েন্দা কাহিনীর পরিচিত রীতির পরিবর্তন হয়েছে । ব্যোমকেশ বা ফেলুদার কাহিনী দীর্ঘকাল বাঙালি পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে, তবে প্রাইভেট গোয়েন্দা ব্যাপারটা বাস্তবে প্রায় নেই বলা চলে । অন্তত তারা কোন খুন বা অপরাধের তদন্ত করার অধিকারী নয় । তারা বন্দুক পিস্তলও যথেচ্ছ ব্যাবহার করতে পারে না । খুব লম্বা চওড়া নয়, কিন্তু প্রবল শক্তিমান এবং সম্পূর্ণ ভয়ডরহীন । ইচ্ছে করেই শবরকে সবরকম মনুষী দুর্বলতা থেকে মুক্ত রেখেছি । সে মদ খায় না, ধূমপান করে না, কোনও প্রেম ভালবাসা বা পরিবার নেই, অথচ সে নিষ্ঠুর নয়, আর অপরাধিদের প্রতিও সে নির্মম নয় ।
Miscellaneous Question Paper – 2010
1. Translate the following passages into English: 20+20=40
(a) অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে তুলোর কাপড় ভারত থেকে নিয়ে গিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকায় বিক্রি করে ইউরোপীয় পণিকরা লাভ করত । উনিশ শতকের গোড়া থেকেই শিল্পজ জিনিসের চেয়ে কৃষিজ পণ্যের উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও অন্য বনিকদের ঝোঁক বেশি পড়ল । ম্যানচেস্টয়েরের বস্ত্রশিল্পে ততদিনে নতুন যন্ত্রের সাহায্যে সুতো পাকানো এবং কাপড় বোনার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । ভারতবর্ষের বস্ত্রশিল্পর উপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার আগেই নানাভাবে আঘাত হেনেছে । দেশের মধ্যে বেশি বেশি পরিমাণ শুল্ক আদায় করে , অভ্যস্ত বাণিজ্যপথে বাধার সৃষ্টি করে কোম্পানি ও অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকরা ভারতবর্ষের শিল্প ব্যবস্তাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল ।
(b) হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের প্রথম রেকর্ড বেরোয়ে ১৯৩৭-র ডিসেম্বরে । দ্বিতীয় রেকর্ড বেরোয় ১৯৩৮-র ফেব্রুয়ারিতে । এই সময় হেমন্ত পেলেন সঙ্গীতের অফুরন্ত ভান্ডার । তাঁর নিজের কথায় “এরপর একদিন শৈলেন দত্তগুপ্ত দিলেন প্রাণের গান, মনের শান্তির সন্ধান । রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির একটা বই । ” রবীন্দ্রসঙ্গীত আর আধুনিক বাংলা গান পাশাপাশি গাইছিলেন । উস্তাদ ফৈয়াজ খাঁর ছাত্র ফণিভূষণ ব্যানার্জীর কাছে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতও শিখেছিলেন কিছুদিন । পরে ফণিবাবুর অকাল মৃত্যুতে এই সঙ্গীত সাধনর ছেদ পড়ে । উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রথাগত তালিম আর নেওয়া হয়নি । কারণ লঘুসঙ্গীত ছেড়ে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শেখা তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল । অসম্ভব ছিল এই জন্যই যে গোটা সংসারের ভরণ-পোষণ নির্ভর করত তাঁর এই লঘু সঙ্গীত থেকে উপার্জিত অর্থের অপড়েই।
Miscellaneous Question Paper – 2009
1. Translate the following passages into English: 20+20=40
(a) সন্ধার পূর্বে কয়েকজন ভুটিয়া বনিকের সঙ্গে তিব্বতের ব্যবসাবাণিজ্য সমন্ধে অনেক আলোচনা হল। প্রধান ভুটিয়ারই এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী । ভুটিয়া ও তিব্বতিদের মধ্যে প্রতিবৎসর সহস্র সহস্র টাকার করবার হয় । বেশির ভাগ ক্রয়বিক্রয়ই হয় পণ্যের বিনিময়ে । ভারত হতে চাল , গম , চিনি , কাপড় , কেরোসিন তৈল , তৈজসপুত্র এবং বর্তমান সভ্যতার নানাবিধ উপকরণ ভুটিয়ারা নিয়ে যায় তিব্বতে । বিনিময় তিব্বত থেকে নিয়ে আসে পশম , কম্বল , ছাগল-ভেড়া-ঘোড়ার চামড়া , সোডা প্রভিতি নানাবিধ জিনিস । তিব্বতে বাণিজ্য করা মহা বিপদের ব্যাপার । মালপত্র নিয়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাবার সময় ভুটিয়ারা আগ্নেয়াস্ত্রাদিতে সুসজ্জিত হয়ে দলবদ্ধভাবে গমন করে । সুবিধা পেলেই তিব্বতি ডাকাতরা এদের মালপত্র সব লুটে নিয়ে যায় ।
(b) ৯৩.৪ মিটার লম্বা এই স্টাচুটির হাতে রয়েছে একটি মশাল । ১৮৮৬ সাল থেকে এটি নিউইয়র্ক বন্দরের সামনে হাডসন নদীমুখে রয়েছে । এর উদ্দেশ্য হল , এই মূর্তিটির মাধ্যমে মার্কিনী আধিবাসীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে , যাঁরা বিদেশ থেকে ঘরে ফিরছেন । তামা দিয়ে তৈরি এই স্টাচু । ১৮৮৬ সালের অক্টোবর মাসে ফরাসি সরকার তার বন্ধুত্বের চিহ্নরূপ এই স্টাচুটি উপহার দেয় । এই স্টাচুর স্থপতি হল ফ্রেডরিক আগাস্টা বার্থোলদি । এর ভেতরের কারুকার্য করেন আলেকজান্ডার গুস্তাব আইফেল । আর তামাকে বাছা ও ব্যবহারের পদ্ধতির কথা বলেন এউজেনে ভিওলেট ।
স্টাচুতে দেখা যায় একটি মহিলা মশাল নিয়ে দান হাত ওপরে তুলে দাঁড়িয়ে আছে — আর তার মাথায় একটি ৭টি পেরেকের মতো মুকুট । এই ৭টি পেরেক ৭টি সমুদ্র ও মহাদেশের ইঙ্গিতবাহী ।
Miscellaneous Question Paper – 2007
- Translate the following passage into English: 20 + 20
(a) শরৎচন্দ্র রূপনরায়ণের কোল ঘেঁসে সামতাবেড়েতে যে বাড়িটি করেছিলেন তা নিয়ে নানা লেখালেখি হয়েছে । কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, সামতাবেড়ে নামটিই এক সময় দিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র স্বয়ং । শরৎচন্দ্রের দিদি অনিলাদেবীর সেজ দেওয়ার পাঁচকড়ি মুখোপাধ্যায় । যাঁকে শরৎচন্দ্র সেজকর্তা বলে ডাকতেন, একদিন বললেন — ‘সেজকর্তা । তোমাদের এখানে একটা জায়গা দেখে দাও তো, থিতু হই, সারা জীবনটাই তো ভবঘুরে হয়ে কাটল — আর কেন ?’
খোঁজা শুরু হল । খুঁজতে খুঁজতে রূপনরায়েণের পাড়ে একটা জমি পাওয়া গেল । দিদির বাড়ির কাছেই । দু’বিঘে জমির দাম এগারোশো টাকা । লেখকের ইচ্ছা বাড়ি করা হবে মাটি দিয়ে । তৈরি হল মাটির দোতলা বাড়ি । মেঝেটা সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো । বাড়ির দু’টি তলাতেই গোল করে চারিদিকে ঘিরে বানানো হল বারান্দা ।
(b) শেক্সপিয়ারের ‘জুলিয়াস সিজার’ নাটকে অ্যান্তনিও বলেছিলেন, শব্দ জাদু তৈরি করতে পারে । ‘টিং টিং টিং টিং’- এটাও যে একটা বিজ্ঞাপনের আকর্ষণীয় লাইন হতে পারে কেউ ভাবেনি । কিন্তু এমনই যাদু এর যে বিজ্ঞাপন সহ প্রডাক্ট হই হই করে হিট । সুতরাং বিজ্ঞাপনের ভাষা যে এখন অন্য মাত্রা লাভ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই অন্য কিছুকে ছাপিয়ে কপিরাইটারের ভূমিকা এখন বিশেষ গুরুত্মপূর্ণ ।
প্রচার ভাবনাকে সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে উপস্থাপন করার ক্ষমতা থাকলে একজন সফল কপিরাইটার হওয়া খুব কঠিন কাজ হবে না ।
একজন কপিরাইটারের কাজ মূলতঃ গ্রাহকের ভাবনাকে সুবিন্যস্ত করে বিজ্ঞাপনের ভাষা তৈরি করা যাতে বিপণন দ্রব্যটি সম্পর্কে সহজেই আমজনতা বুঝতে পারে এবং তাদের কাছে জিনিসটি আকর্ষণীয় মনে হয় । কম সময়ে কম কথায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করাটাই তার প্রধান গুণ ।
Miscellaneous Question Paper – 2006
- Translate the following passages into English : 20 + 20
(a) ভ্রমণকারীদের কাছে মায়ানমার স্বর্ণভূমি নামে পরিচিত । অবিশ্বাস্য সব সুবর্ণমণ্ডিত প্যাগোডা আছে এখানে । সবচেয়ে দর্শনীয় হল ইয়াংগণেরর শোয়েড্রাগন প্যাগোডা । অধ্যাত্মবাদী ঝোঁক যাঁদের নেই, তাঁদের কাছেও আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন এই বৌদ্ধ মন্দিরের আবহ অপরিহার্য । মায়ানমারের প্রতিটি বৌদ্ধের আশা, জীবনে অন্তত একবার এই তীর্থ দর্শনে আসবেন । কথিত আছে, এই স্তূপে ভগবান বুদ্ধের আঠটি কেশ আছে । টিপ্পান্ন টন স্বর্ণপত্রে এই স্তূপ আবৃত এবং এর চূড়া পাঁচ হাজার হীরকে ও অন্যান্য তিন হাজার মণিতে খচিত বলে প্রবাদ । ইয়াংগণেরর পথ নির্দেশক শোয়েড্রাগন । শহরের বেশির ভাগ অঞ্চল থেকেই এই মহিমাময় বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত ।
(b) বিজ্ঞান পড়ার অনুমতি না পেয়ে সে ক্ষুন্ন হয়েছিলেন । তারপর স্কুল অব ইকোনমিক্স বাইরের ছাত্রী হিসাবে অর্থনীতি ও সমাজতত্বের লেকচার শুনেছে । বিষয় যাই হোক বিদ্যা তো বটে । বিদ্যার জন্যে সে এক প্রকার বুভুক্ষু বোধ করেছিল । বই হাতে পেলে গ্রাস করতে অধীর হয়, মন দিয়ে নোট লিখে নেয়, অন্যের কাছ থেকে নোট চেয়ে নিয়ে মেলায় । বই পড়তে পড়তে সে ভাবে, আহা, জ্ঞানের মতো আনন্দ আর নেই । বেহালা শুনতে শুনতে তার মনে হয়, কী মুক্তি ! সাঁতার কাটতে কাটতে তার বলতে সাধ যায়, দেহ আমার এমনি লঘুভার যদি সব সময় হত ! এমনি কত রকম আবিষ্কার তাকে মাতিয়ে রেখেছিল ।
Miscellaneous Question Paper – 2005
- Translate the following passages into English : 20 + 20
(a) সেবার বুড়ির বাড়িতে আমার যাওয়া ঘটে উঠলো না ওর এত আগ্রহ সত্ত্বেও । নানা দিকে ব্যস্ত থাকি, তার ওপর আছে সমবয়সী বন্ধু বান্ধবদের দাবি । অনেকদিন পড়ে গ্রামে এসেছি তো । যে ক’দিন গ্রামে থাকি, বুড়ি রোজ সকালে একবার সাতে ভূলবে না । কিছু-না-কিছু আনবেই – কখনও পাক আম , কখনও পাতিলেবু , কখনও একছড়া কলা , কি একখানি কুমড়ো । দু-আনা, চার আনা প্রায়ই দিই । একদিন একখানা কাপড় দিলাম । একটা জিনিস লক্ষ্য করে আসছি, বুড়ি কোনো-দিন আমার কাছে কিছু মুখ ফুটে চায়নি । কখনও বলেনি, “পয়সা দাও” কি “অমুক দাও” । বরং তার উল্টো ; শুধু হাতে কখনও আসে না ।
(b) অঞ্চলটাই পাথর, কাঁকর আর লাল মাটির অঞ্চল । শক্ত কঠিন রুক্ষ মাটি । লাল ধুলোয় ভরা । গ্রাম থেকে গ্রামন্তরে যেতে শালবনের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় । মধ্যে মধ্যে বড় পাথরের চাই মাথা ঠেলে বেরিয়ে যেন থাবা গেড়ে বসে আছে । এরই মধ্যে আপনার চোখে পড়বে দু-চারটি পঁচিশ থেকে ত্রিরিশ -চল্লিশ ফুট উঁচু পাথরের ঢিপি তাবে ঘিরে জন্মেছে শালগাছ-ক্বচিং কোথাও একটা বড় বটগাছও আপনার চোখে পড়বে । তারপরই আবার পঢ়বে মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ শাল জঙ্গল । মধ্যে মধ্যে কাঁঠাল গাছ দেখতে পাবেন ।
Miscellaneous Question Paper – 2004
- Translate the following passage into English : 20 + 20
(a) ছাতে বসে দেখছি রাত্রির আকাশ । একটানা দুঃসহ বৈশাখ। শুকিয়ে-যাওয়া টবের ফুলগাছটি দাঁড়িয়ে আছে অন্ধকার কোণে, শেয়ালদা স্টেশনের পকেটমার ছেলেটির মতো । বৃষ্টির প্রতীক্ষা করছে সমস্ত শহর । রাত্রির ঘননীল আকাশপথে অবিশ্রান্ত গতিতে উড়ে যাচ্ছে খন্ড খন্ড শাদা মেঘ । যেন অতিকায় ম্যাজিক লণ্ঠনের ছবি । বিরামহীন, গত দু’রাত ধরেই চলেছে এই মেঘের দল । যেন ৪৭ সালের সীমান্ত-পেরিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের মিছিল । ঐ লম্বাটে মেঘটি আমার ঠাকুর্দা, ঐ দ্রুতগামী মেঘটি আমার বাবা, ঐ পিছিয়ে-পড়া ক্লান্ত মেঘটি আমার মা ।
(b) আধুনিক য়ুরোপিয় নাট্যমঞ্চের প্রসাধনে দৃশ্যপট একটা উপদ্রবরূপে প্রবেশ করেছে । ওটা ছেলেমানুষি । লোকের চোখ ভলবার চেষ্টা । সাহিত্য ও নাট্যকলার মাঝখানে ওটা গায়ের জোরে প্রক্ষিপ্ত । কালিদাস মেঘদূত লিখে গেছেন, ঐ কাব্যটি ছন্দোময় । বাক্যের চিত্রশালা । রেখাচিত্রকর তুলি-হাতে এর পাশে পাশে তাঁর রেখাঙ্ক-ব্যাখ্যা যদি চালনা করেন তা হলে কবির প্রতিও যেমন অবিচার, পাঠকের প্রতিও তেমনি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয় । নিজের কবিত্বই কবির পক্ষে যথেষ্ট, বাইরের সাহায্য় তাঁর পক্ষে সাহায্য়ই নয়, সে ব্যাঘাত ; এবং অনেক স্থলে স্পর্ধা ।
Miscellaneous Question Paper – 2003
- Translate the following passage into English : 20 + 20
(a) অর্জুন বেড়িয়ে গেল । বড় বিপদ, বড় দুঃখের জীবন । অথচ এখন অজানা ঐ জীবন ছাড়া অন্য জীবনের কথা ভাবতে পারে না । ভীষ্ম হঠাৎ যেন বুঝতে পারে সব বড় টিউবওয়েল চৌমাথায় বসেনি । জলের কষ্ট যে কে সেই রয়ে গেল । বড় কষ্ট । এই অর্জুনকে ভীষ্ম যখন প্রথম দেখে , এতটুকু রক্তের ডেলা কোলে তুলে অবাক ভীষ্মের দিকে চেয়েছিল । ভীষ্মের এক কানে তখন একটা পেতলের মাকড়ি থাকত । অর্জুনের গায়ে তখনও মেয়ের পেটে আঁধারবাসের আঁশটে গন্ধ । ওর মুখ চেয়ে পরাণবালাকে কথা দিয়েছে সে কথা মনে করে কতদিন ধরে ভীষ্ম নিজের রক্তকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল । ঘুমোতে ঘুমোতে ওর রক্ত একদিন জলের মতো শান্ত হয়ে গেল ।
(b) এমন সময় একটা ঘটনা ঘটল যাতে ছাত্রছাত্রীদের মিলেমিশে কাজ করবার একটা সুযোগ হল । সর্বন ইউনিভার্সিটির একজন ভারত প্রত্নতত্ত্ববিদ পন্ডিত আসবেন কলকাতা ইউনিভার্সিটির নিমন্ত্রণে । ছেলেমেয়েরা ঠিক করেছিল পথের মধ্যে থেকে তারাই তাঁকে ওদের প্রগতি সংঘের নিমন্ত্রণ জানালে তিনি ফরাসি সৌজন্যে আতিশয্য়ে এই নিয়ন্ত্রণ স্বীকার করে নিলেন । তার পরে কে তাঁর অভিনন্দন পাঠ করবে, সেটা ওড়া ভাল করে ভেবে পাচ্ছিল না । কেউ বলেছিল ইংরাজী ভাষায় সম্মান প্রকাশ করাই উপযুক্ত ঠিক — কিন্তু করবে কে ? বাইরের লোক পাওয়া যায় , সেটাতে টো সম্মান রক্ষা হয় না ।
Miscellaneous Question Paper – 2002
- Translate the following passage into English : 20 + 20
(a) গোপালপুরে আগে কখনো আসিনি । বাছাইটা যে ভালোই হয়েছে সেটা প্রথম দিন এসেই বুঝেছি । এমন নিরিবিলি অথচ মনোরম জায়গা কমই দেখেছি । নিরিবিলি আরো এই জন্যে যে , এটা হ’ল অফ সীজন — এপ্রিল মাস । হওয়া বদলের দল এখনো এসে পৌঁছয়নি । যে হোটেলে এসে উঠেছি , তাতে আমি ছাড়া আছেন আর একটি মাত্র প্রাণী — এক বৃদ্ধ আর্মেনিয়াম — নাম মিস্টার আরাটুন । তিনি থাকেন হোটেলে পশ্চিম প্রান্তের একটা ঘরে , আর আমি থাকি পূর্ব প্রান্তে । হোটেলের লম্বা বারান্দার ঠিক নীচ থেকেই শুরু হয়েছে বালি , একশো গজের মধ্যেই সমুদ্রের ঢেউ এসে সেই বালির উপর আছড়ে পড়েছে ।
(b) টেবিলের উপর একটা পিতলের ঘণ্টা থাকত , সেইটা বাজালে বুঝতুম ডাকছেন । একদিন সকালে ঘন্টার শব্দে আমরা একসঙ্গে সবাই ছুটে এসেছে । উনি হাসতে লাগলেন , বললেন “তোমরা কিন্তু সহজে শুনতে পাও না ; আমি ত অনেকক্ষণ বাজাচ্ছি । এই লও , তোমার বাবাকে একখানা পত্র লিখলাম । কাল উনি আমায় কবিতায় চিঠি লিখেছেন । এমন করে চ্যালেন্জ করলে আমার কবিত্ব জাগ্রত হয়ে ওঠে । উনি দার্শনিক হয়ে কবিতা লিখবেন , আর আমি কবি হয়ে গদ্যে উত্তর দেব , তাও কী হয় কখনো ?”